সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

ট্রায়াল অব সক্রেটিস(৩৯৯ খ্রিস্টপূর্ব) (The Trial of Socrates)




What did Socrates say at his death?; সক্রেটিস মৃত্যুর সময় কি বলেছিলেন?; The Trial of Socrates movie; How did Socrates die; How old was Socrates when he died; Who accused Socrates in the Apology; Socrates philosophy; Socrates' last words; Why was Socrates important; Why was Socrates against democracy; সক্রেটিসের মৃত্যুর কারণ; সক্রেটিসের মৃত্যু কাহিনী; সক্রেটিসের বিখ্যাত গ্রন্থ; সক্রেটিস মৃত্যুর সময় কি বলেছিল; সক্রেটিস এর গুরু কে ছিলেন; সক্রেটিসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম কি; সক্রেটিসের শিষ্য কে ছিলেন; সক্রেটিসের দর্শনের মূল কথা কি ছিল;


ট্রায়াল অব সক্রেটিস(৩৯৯ খ্রিস্টপূর্ব)

(The Trial of Socrates)

সক্রেটিসের বিচার প্রাচীন গ্রিসের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ও বিখ্যাত ঘটনা। খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯ সালে অ্যাথেন্স শহরে এই বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সক্রেটিস ছিলেন একজন দার্শনিক যিনি প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে নৈতিকতা, জ্ঞান এবং সমাজ সম্পর্কে গভীর চিন্তা উদ্ভাবন করেন। কিন্তু তাঁর ব্যতিক্রমী চিন্তাধারা ও সমালোচনামূলক পদ্ধতি অনেকেই মেনে নিতে পারেননি, যা তাঁকে তার সময়ে বিতর্কিত ব্যক্তিতে পরিণত করে।

ট্রায়ালের প্রেক্ষাপট

খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর শেষে অ্যাথেন্স শহরে রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। পেলোপনেশীয় যুদ্ধ শেষে অ্যাথেন্স একটি কঠিন সময় পার করছিল এবং রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। এমন প্রেক্ষাপটে সক্রেটিসের অনুসারী ও ছাত্রদের মধ্যে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন যারা অ্যাথেন্সের বিপক্ষে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ কারণে সক্রেটিসের ভাবনা ও শিক্ষা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক হয়।

সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তিনি যেসব বিষয় তুলে ধরেছিলেন

সক্রেটিসের বিরুদ্ধে নিচের  তিনটি প্রধান অভিযোগ আনা হয়েছিল—

১. যুবকদের বিভ্রান্ত করা: বলা হয়েছিল যে তিনি যুবকদের ভুল পথে পরিচালিত করছেন এবং তাঁদের     

   মধ্যে প্রথাগত বিশ্বাসের প্রতি বিদ্রোহী মনোভাব তৈরি করছেন;


২. দেবতাদের অবমাননা: সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি শহরের প্রচলিত দেবতাদের প্রতি অবিশ্বাসী এবং নতুন ধরনের দেবতার পরিচিতি দেন;


৩. ঐতিহ্যবিরোধী মতবাদ প্রচার: সক্রেটিসের চিন্তাধারা এবং বক্তৃতাগুলো অনেকের কাছে অত্যন্ত বিতর্কিত মনে হয়েছিল।



এছাড়া প্লেটোর অ্যাপোলজি গ্রন্থের ভাষ্যমতে, সক্রেটিসের বন্ধু চেরিফোন একদিন ডেলফির ওরাকলের কাছে গিয়ে প্রশ্নে করে যে, সক্রেটিসের চেয়ে প্রাজ্ঞ কেউ আছে কি-না? উত্তরে ওরাকল জানায় সক্রেটিসের চেয়ে প্রাজ্ঞ কেউ নেই। এর পর থেকেই সক্রেটিসকে সমাজের চোখে একজন রাষ্ট্রীয় অপরাধী ও সরকারের জন্য বিষফোঁড় হিসেবে দেখা হতে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আরো দুটি কারণ ছিল স্পার্টার সঙ্গে ২৭ বছরের যুদ্ধে এথেন্সের পরাজয়ের ফলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরাট আঘাত আসে। অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। সেকালের ধর্মবিশ্বাসী মানুষরা মনে করল নিশ্চয়ই দেবতাদের অভিশাপেই এই পরাজয় আর এর জন্য দায়ী সক্রেটিসের ঈশ্বর বিদ্বেষী শিক্ষা।


সেই সময় সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন মেলেতুল, লাইকন, আনাতুস (The Three Accusers of Socrates) নামে এথেন্সের তিনজন সমভ্রান্ত নাগরিক। প্রথম জন ছিলেন মধ্যম শ্রেণীর কবি, দ্বিতীয় জন ছিলেন বক্তা এবং তৃতীয় জন ছিলেন গণতান্ত্রিক নেতা।উপরিউক্ত অভিযোগে সক্রেটিসের বিচার করার জন্য এথেন্সে আলোচোনের সভাপতিত্বে ৫০০ সদস্যের বিচারকমণ্ডলী গঠিত হলো।৫০০ জন জুরির সামনে বিচার।এই বিচারকমণ্ডলীর সামনে সক্রেটিস এক দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাঁর বিরোধীপক্ষ কী বলেছিল তা জানা যায়নি। তবে সক্রেটিসের জবানবন্দি লিখে রেখে গিয়েছিলেন তাঁর শিষ্য প্লেটো। প্লেটোর বর্ণনায় সেদিনের আদালতে সক্রেটিস যে বিষয়গুলো আলোকপাত করেছিলেন সংক্ষেপে তা নিম্নরূপ—



১। সক্রেটিসের ১ম দর্শনটি হলো: "সত্যিকারের প্রজ্ঞা নিহিত থাকে কিছু না জানার সহজ স্বীকারোক্তির মাঝে।"


তিনি এ কথা এজিন্যই বলেছিলেন যে- ডেলফাইয়ে অবস্থিত এপোলো তীর্থের বিখ্যাত ওরাকলের মতে জীবিত আর কেউ নেই যে সক্রেটিসের মত জ্ঞানী । সক্রেটিস এটা বিশ্বাস করলেন না। তিনি জুরিদের বললেন যে তিনি তাদের কথা ভুল প্রমাণিত করবেন। এর পর তিনি নানান জ্ঞানী মানুষের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করেন। সক্রেটিস প্রথমে রাষ্ট্রনায়কদের সাথে দেখা করলেন এবং দেখলেন যে তারাই সবচেয়ে বড় জ্ঞানহীন ।


এরপর তিনি কবিদের কাছে গেলেন এটা দেখার জন্য যে- তাদের কেউ তার চেয়ে বেশি জ্ঞানী কিনা। তিনি দেখলেন যে তাদের কবিত্বের ভিত্তি প্রজ্ঞা নয়, বিরং প্রেরণা । তারা অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেন কিন্তু জানেনা তার কিছুই। তারা কবিত্বের বলে বড়াই করে বলে যে, তারা সর্বজ্ঞ।


তারপর তিনি চারু ও কারুশিল্পীদের কাছে গেলেন । তারা অনেক সুন্দর জিনিষ তৈরি করতে পারেন । কিন্তু তারাও কবিদের মতো তাদের সৃষ্টি ক্ষমতার জন্য খুব বড়াই করতে লাগলেন এবং জুতা তৈরি করার মতো দক্ষতার জন্য নিজেকে সর্বজ্ঞ দাবী করতে লাগলেন। এতেকরে তাদের জ্ঞানের দাবী দুর্বল হয়ে পড়লো। সক্রেটিসের কাছে বিষয় গুলো দৃষ্টিকটু লাগলো। সক্রেটিস অবশেষে বুঝতে পারলেন যে- রাষ্ট্রনায়ক, কবি, কিংবা ভাস্কর - এরা কেউই প্রকৃত জ্ঞানী না। ওরাকলের ভাষ্যের মানে এটা ছিলনা যে - সক্রেটিস সবচেয়ে জ্ঞানী বরং এটা ছিল যে,সক্রেটিস অন্তত জানেন যে তিনি কিছুই জানেন না।


২। সক্রেটিসের দ্বিতীয় দর্শনটি হল: আত্মার উৎকর্ষ ঘটানো , সত্য ও প্রজ্ঞার পরিচর্যা করে পরম শুভ ও কল্যাণে পৌঁছানো।


সক্রেটিসের মতে অর্থসম্পদ থেকে উৎকর্ষ অর্জন হয় না। তিনি সত্য ও প্রজ্ঞার জন্য যথেষ্ট ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করার আগেই অর্থখ্যাতি-সম্মান বা দৈহিক চাহিদা হতে বিরত থাকতে বলেন। তারমতে - আত্মার উৎকর্ষ অর্জন হলেই কেবল মানবজাতি , ব্যক্তি এবং সাধারণের অর্থসম্পদ সহ যাবতীয় কল্যাণ অর্জন হতে পারে।


সক্রেটিসের বলেন, " আমার এই মতবাদ যদি যুবসমাজকে কলুষিত করে তবে অবশ্যই আমি অনিষ্টকারী । আর কেউ যদি বলে যে আমি এছাড়া অন্যকিছু প্রচার করি বা শিক্ষা দিই, তবে অবশ্যই সে মিথ্যাচারী ।"


৩। সক্রেটিসের ৩য় দর্শন- "তোমরা আমাকে যদি দোষারোপ কর তাহলে যে ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন তোমরা তার বিরুদ্ধে পাপ করবে।"


সক্রেটিসের মতে তিনি হলেন এক উড়ন্ত মাছি (Gadfly ) যাকে ঈশ্বর পাঠিয়েছেন এই পশুর ন্যায় বিশাল আকৃতির ধীরগতি আর জড়সড়ভাব রাষ্ট্রকে হুল ফুটিয়ে জাগ্রত করার জন্য। তিনি বলেছিলেন, " তোমরা আমার মতো আরেকজনকে পাবেনা "।


৪। সক্রেটিসের ভাষণের ৪র্থ বিষয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ছিল : "সদগুণই জ্ঞান (Virtue is knowledge)" এই নীতি। 

এ নীতি অনুযায়ী সৎকর্ম কি তা জানার অর্থ হল সৎকর্ম করা। আর দুষ্ট, অনাচার বা কুঅভ্যাস হল জ্ঞানের অভাব বা অজ্ঞতা। সদগুণই যদি জ্ঞান হয়ে থাকে বা ভালো কী তা চিনতে পারাই যদি ভালো কাজ করা হয়ে থাকে, তবে অন্যায়ের উৎস হল, ভালো কী, তা না-চিন্তে পারা। তার একটি বিখ্যাত উক্তি হল, " কেউ স্বেচ্ছায় অশুভ বা দুষ্ট কাজে লিপ্ত হতে পারেনা ।"


মানুষ কখনোকখনো বলে যে, সে তার সদ্বিবেচনার বিরুদ্ধে কাজ করেছে বা সে এর চেয়েও ভালো কিছু করবার যোগ্য। কিন্তু সক্রেটিসের মতে, এটা একটা উদ্ভট দাবী ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বলেন, আপনি যদি সত্যি সত্যি সঠিক কাজ কি তা জানতেন , তাহলে অবশ্যই তা করতেন। আপনার বিচার ক্ষমতা যদি সত্যই উন্নত হতো তাহলে আপনি তার পক্ষে কাজ করতেন। বিপক্ষে নয়।



সক্রেটিসের বিচার পদ্ধতি

প্রাচীন এথেন্সের বিচার ব্যবস্থায় পেশাদার বিচারক ছিলেন না। বিচারক ছিলেন নাগরিকদের মধ্য থেকে নির্বাচিত জুরি। সক্রেটিসের মামলায় ৫০০ জন নাগরিক জুরি সদস্য ছিলেন। সাধারণত বিচার ব্যবস্থা সরাসরি গণতন্ত্রের ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়ায়, এই জুরিরাই অভিযোগের পক্ষে ও বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নিতেন। আর এ মামলায় ৫০০ জন বিচারকের মধ্যে প্রথমে তাঁর বিরুদ্ধে জুরি ছিলেন ২৮০ জন এবং স্বপক্ষে ছিলেন ২২০ জন।  এই বিচার পদ্ধতি বর্তমান বিচার পদ্ধতি থেকে অনেকটাই ভিন্ন ছিল। যেমন–

১) কোনো নির্দিষ্ট আইনের কোড বা সিভিল ল ছিল না, বরং জনগণের মূল্যবোধ এবং নাগরিকদের মনোভাবই আইন ছিল।

২) জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ এবং নির্দিষ্ট বিচারকদের অভাবে প্রক্রিয়াটি প্রায়শই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হতো।

৩) বিচারটি মূলত রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হওয়ায় এর পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ছিল।

সক্রেটিসের আত্মপক্ষ সমর্থন

সক্রেটিস তাঁর বিখ্যাত বক্তৃতা "অ্যাপলজি" (Apology) বা আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। তিনি স্পষ্টভাবেই বলেন, তিনি অ্যাথেনিয়দের শিক্ষার জন্য দায়বদ্ধ, এবং তাঁর প্রচেষ্টা ছিল মানুষের ভুল ধারণা ও অজ্ঞানতা দূর করা। সক্রেটিস দাবি করেন যে, তিনি ঈশ্বরের আদেশেই দর্শনচর্চা করেন এবং মানুষকে আত্মজিজ্ঞাসায় উদ্বুদ্ধ করতে চান।

তাঁর বিখ্যাত বক্তব্য: "The unexamined life is not worth living"

প্রথমেই সক্রেটিসের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয়নি। বিচারের শেষ মুহূর্তে শাস্তি এড়াতে না পারলেও মৃত্যুদণ্ডকে এড়াতে পারতেন সক্রেটিস। গ্রীস যেহেতু একটি সিভিল ল সিস্টেমের দেশ তাই এ বিচারটিও ঐতিহ্যগত বিচার ব্যবস্থার অংশ হিসেবে অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। ৫০০ বিচারকের উপস্থিতিতে সক্রেটিসকে জিজ্ঞেস করা হলো, তিনি কী শাস্তি চান। কিন্তু যেহেতু তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করতেন না তার আচরণ ছিলো স্বভাবসুলভ অনমনীয়। তিনি শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কারের প্রস্তাব করেন! উদ্বেগহীন সক্রেটিস প্রস্তাব করলেন যেন, প্রাইটেনিয়াম হলে (একটি পাবলিক হল) তাকে নিয়ে বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়, প্রথাগতভাবে যা করা হতো গ্রীসের বীরদের জন্য। তাতে বিচারকরা বাক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন, তাঁরা মনে করলেন, সক্রেটিস এই বিচারকে প্রহসন মনে করছে এবং তাঁদের উপস্থিতির সম্মান দিচ্ছে না। তাঁর ঐ উত্তর শুনে বিরুদ্ধে গেল ২৮০ জন থেকে ৩৩০ জন। ফলে উচ্চারিত হল, মৃত্যুদণ্ড। সেই ভয়ঙ্কর রায় শুনে এতটুকু বিচলিত হলেন না সক্রেটিস। স্থির শান্তভাবে বললেন, I to die, and you to live. Which is better God only knows.অর্থাৎ এখন সময় হয়েছে আমাদের সকলকে চলে যাওয়ার, তবে আমি যাব মৃত্যুর দিকে, তোমরা যাবে জীবনের দিকে। জীবন কিংবা মৃত্যু-একমাত্র ঈশ্বরই বলতে পারেন এর মাঝে শ্রেষ্ঠ কে? 

মোটকথা, সক্রেটিস তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থন বক্তৃতায় তিনি বিচারকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তাঁর মৃত্যুদণ্ড দিলে তা অ্যাথেন্সের জন্য ক্ষতিকর হবে। তবে সক্রেটিস তাঁর বক্তব্যে আপোষ না করে বরং তার দর্শনের সত্যতা বজায় রাখেন, যা বিচারকদের ক্ষুব্ধ করে তোলে।

রায় ও মৃত্যুদণ্ড

আলোচনার পর বিচারকরা সক্রেটিসকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে ২৮০-২২০ ভোটের মাধ্যমে। সক্রেটিসকে হেমলক বিষপান করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়।

সক্রেটিসের বন্ধুরা পালিয়ে যেতে বলেন, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন যে, আইন ও নিয়ম ভঙ্গ করা উচিত নয়, এমনকি যদি সে আইন তাঁর মৃত্যুর কারণও হয়। তাঁর এই আধ্যাত্মিকতা এবং নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধা তাঁকে যুগে যুগে একটি আদর্শে পরিণত করে।

ঐতিহাসিক প্রভাব

সক্রেটিসের বিচার ও মৃত্যুদণ্ড প্রাচীন দর্শন এবং চিন্তার ওপর বড় প্রভাব ফেলে। তাঁর শিষ্য প্লেটো এই বিচার ও মৃত্যুর ঘটনার বিবরণ দেন এবং সক্রেটিসের জীবন ও দার্শনিক মতবাদকে তুলে ধরেন। প্লেটোর লেখা "Apology" ও "Phaedo" এবং অন্যান্য সংলাপে সক্রেটিসের চিন্তা ও দর্শনের প্রতিফলন দেখা যায়।

এই বিচার বিশ্বব্যাপী নৈতিকতা, ন্যায়বিচার এবং মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তার বিচার ও মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে মুক্ত চিন্তার পথকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। সক্রেটিসের আত্মত্যাগ দর্শনের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। 


তথ্যসূত্র: 
1. সক্রেটিস থেকে সার্ত্রে; দার্শনিক অন্বেষা, লেখক: টি জেড লেভিন।
2. https://tinyurl.com/ywf8ubhc
3. https://tinyurl.com/ms985phz


Post a Comment

0 Comments