সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

‘‘মানিলন্ডারিং’’ কি? ‘মানিলন্ডারিং অপরাধ ও দণ্ড’ সম্পর্কে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী বিধান তুলে ধরুন। Money Laundering Prevention Act, 2012 Bangladesh

What is the Prevention of money laundering Act?; What is the anti money laundering law in Bangladesh?; What is the money laundering Amendment Act 2012?; What is Section 25 of the money laundering Act 2012?; money laundering prevention act-2012 (amendment-2015); Money Laundering Prevention Act, 2012 English pdf; Money Laundering Act 2019 Bangladesh; Money Laundering Prevention Rules 2019 pdf; Money Laundering Prevention Act, 2015; Money Laundering Act, 2015 Bangladesh; Anti money laundering Act, 2012 Bangladesh pdf; Money laundering Prevention Act, 2002; What is money laundering and an example?; What are the 3 steps of money laundering?; What are the three ways that money is laundered?; মানি লন্ডারিং কাকে বলে উদাহরণ দাও?; What are the 4 stages of money laundering; What is money laundering and why is it illegal; Money laundering cases; Money laundering Act; What is money laundering in simple terms; Consequences of money laundering are; Anti money laundering; মানি লন্ডারিং আইন বাংলাদেশ; মানি লন্ডারিং আইন ২০১৯; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যাংকের করণীয়; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ pdf; মানি লন্ডারিং আইন কি; মানি লন্ডারিং ও বাংলাদেশ; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১৫ pdf; মানি লন্ডারিং এর স্তর কয়টি;


 ‘‘মানিলন্ডারিং’’ কি? ‘মানিলন্ডারিং অপরাধ ও দণ্ড’ সম্পর্কে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী বিধান তুলে ধরুন।

অপরাধমূলক কার্যকলাপ থেকে প্রাপ্ত অর্থের উৎস গোপন বা গোপন করার চেষ্টা করার প্রক্রিয়া হিসেবে বা বৈধ বা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বা সম্পত্তি বিদেশে পাচার করার কার্যকলাপকে সাধারণভাবে ‘মানি লন্ডারিং’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। অপরাধের অর্থ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে পাঠানো বা আনা যদি তার অবৈধ উৎস লুকানোর উদ্দেশ্যে করা হয়, তা-ও মানি লন্ডারিংয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা-২(ফ) এ ‘‘মানিলন্ডারিং’’ বলতে বুঝানো হয়েছে —

  

(অ) নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত সম্পত্তি জ্ঞাতসারে স্থানান্তর বা রূপান্তর বা হস্তান্তর–

  

(১) অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছদ্মাবৃত্ত করা; অথবা

 

(২) সম্পৃক্ত অপরাধ সংগঠনে জড়িত কোন ব্যক্তিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হইতে রক্ষার উদ্দেশ্যে সহায়তা করা;

 

 

(আ) বৈধ বা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বা সম্পত্তি নিয়ম বর্হিভূতভাবে বিদেশে পাচার করা;

 

(ই) জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করিবার উদ্দেশ্যে উহার হস্তান্তর, বিদেশে প্রেরণ বা বিদেশ হইতে বাংলাদেশে প্রেরণ বা আনয়ন করা;

  

(ঈ) কোন আর্থিক লেনদেন এইরূপভাবে সম্পন্ন করা বা সম্পন্ন করিবার চেষ্টা করা যাহাতে এই আইনের অধীন উহা রিপোর্ট করিবার প্রয়োজন হইবে না;

  

(উ) সম্পৃক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচিত করা বা সহায়তা করিবার অভিপ্রায়ে কোন বৈধ বা অবৈধ সম্পত্তির রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা;

  

(ঊ) সম্পৃক্ত অপরাধ হইতে অর্জিত জানা সত্ত্বেও এই ধরণের সম্পত্তি গ্রহণ, দখলে নেওয়া বা ভোগ করা;

  

(ঋ) এইরূপ কোন কার্য করা যাহার দ্বারা অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করা হয়;

  

(এ) উপরে বর্ণিত যে কোন অপরাধ সংঘটনে অংশগ্রহণ, সম্পৃক্ত থাকা, অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র করা, সংঘটনের প্রচেষ্টা অথবা সহায়তা করা, প্ররোচিত করা বা পরামর্শ প্রদান করা;


বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ হলো বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা, যা মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্রের প্রসারণে অর্থায়ন প্রতিরোধে কাজ করে। বিএফআইইউ সন্দেহজনক লেনদেন এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ রিপোর্ট (এসটিআর/এসএআর), নগদ লেনদেন রিপোর্ট (সিটিআর) এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন সম্পর্কিত তথ্য রিপোর্টিং সংস্থা ও অন্যান্য উৎস থেকে গ্রহণ করে। এ ইউনিটের মূল কাজ হলো প্রাপ্ত রিপোর্ট বিশ্লেষণ করা এবং মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বা গণবিধ্বংসী অস্ত্রের প্রসারণের সন্দেহ থাকলে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাঠানো, যাতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালার অধীনে তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

তিন ধাপে হয় মানি লন্ডারিং

মানি লন্ডারিং প্রক্রিয়া সাধারণত তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়: স্থানান্তর, স্তরায়ণ এবং একীকরণ। স্থানান্তর হলো প্রথম ধাপ, যেখানে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ আর্থিক ব্যবস্থায় প্রাথমিকভাবে জমা বা প্রবেশ করানো হয়। স্তরায়ণ হলো অর্থের উৎস গোপন করার প্রক্রিয়া, যা একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে করা হয়, যার মধ্যে বেশির ভাগই অপ্রয়োজনীয় এবং হিসাবনিকাশের কারসাজি। কখনও কখনও স্তরায়ণ লেনদেনের কাঠামোগত পদ্ধতির মাধ্যমে হয়। একীকরণ হলো চূড়ান্ত ধাপ। এ ধাপে বৈধ মনে হওয়া অর্থ তখন অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয় এবং অপরাধীরা তাদের উদ্দেশ্য অনুযায়ী এর ব্যবহার করে, যা ওই অর্থকে দৃশ্যত বৈধ করে তোলে।

মানিলন্ডারিং অপরাধ ও দণ্ড


মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা-৪ এ ‘ মানিলন্ডারিং অপরাধ’ এবং মানিলন্ডারিং এর দণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে যে—

 

(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মানিলন্ডারিং একটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।

 

(২) কোন ব্যক্তি মানিলন্ডারিং অপরাধ করিলে বা মানিলন্ডারিং অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা, সহায়তা বা ষড়যন্ত্র করিলে তিনি অন্যূন ৪ (চার) বৎসর এবং অনধিক ১২ (বার) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুন মূল্যের সমপরিমাণ বা ১০ (দশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত, যাহা অধিক, অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ।

 

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত কর্তৃক ধার্যকৃত সময়সীমার মধ্যে অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হইলে আদালত অপরিশোধিত অর্থদণ্ডের পরিমাণ বিবেচনায় অতিরিক্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

 

(৩) আদালত কোন অর্থদণ্ড বা দণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে দণ্ডিত ব্যক্তির সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যাহা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানিলন্ডারিং বা কোন সম্পৃক্ত অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত বা সংশ্লিষ্ট।

 

(৪) কোন সত্তা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করিলে বা অপরাধ সংঘঠনের চেষ্টা, সহায়তা বা ষড়যন্ত্র করিলে ধারা ২৭ এর বিধান সাপেক্ষে, উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে এবং অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্যের অন্যূন দ্বিগুণ অথবা ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা, যাহা অধিক হয়, অর্থদন্ড প্রদান করা যাইবে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিলযোগ্য হইবে:

 

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সত্তা আদালত কর্তৃক ধার্যকৃত সময়সীমার মধ্যে অর্থদন্ড পরিশোধে ব্যর্থ হইলে আদালত অপরিশোধিত অর্থদন্ডের পরিমাণ বিবেচনায় সত্তার মালিক, চেয়ারম্যান বা পরিচালক যে নামেই অভিহিত করা হউক না কেন, তাহার বিরুদ্ধে কারাদন্ডে দন্ডিত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

 

(৫) সম্পৃক্ত অপরাধে অভিযুক্ত বা দণ্ডিত হওয়া মানিলন্ডারিং এর কারণে অভিযুক্ত বা দণ্ড প্রদানের পূর্বশর্ত হইবে না।


source:

1. মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ ( ২০১২ সনের ৫ নং আইন )

2. https://tinyurl.com/4r5exhu7



Post a Comment

0 Comments