সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল আওলাদ, দেবোত্তর অথবা অন্যান্য ধর্মীয় অছির অধীনস্থ কতিপয় খাজনা গ্রহণের স্বার্থ-সম্পর্কিত বিশেষ বিধানসমূহ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ন আইনের আলোকে আলোচনা (The Waqfs Ordinance, 1962)

ওয়াকফ প্রধানত কত প্রকার?; ওয়াকফ কিভাবে করতে হয়?; ওয়াকফ প্রশাসকের কাজ কি?; ওয়াকফ এর পূর্ণ অর্থ কি?; waqf Ordinance 1962 in Bangladesh?; waqf Act in Bangladesh?; waqf rule?; Who can be Mutawalli in waqf property?;


 প্রশ্ন- ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল আওলাদ, দেবোত্তর অথবা অন্যান্য ধর্মীয় অছির অধীনস্থ কতিপয় খাজনা গ্রহণের স্বার্থ-সম্পর্কিত বিশেষ বিধানসমূহ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ন আইনের আলোকে আলোচনা করুন।



ওয়াকফ(Al-waqf)


মালিকানার দাবি না রেখে ধর্মীয় বা দাতব্য কাজের জন্য স্থায়ীভাবে কোন সম্পত্তি উৎসর্গ করাকে ওয়াকফ বলা হয়৷ ওয়াকফ অধ্যাদেশ, ১৯৬২ অনুসারে কোন মুসলমান দ্বারা ধর্মীয়, পবিত্র বা দাতব্য কাজের উদ্দেশ্যে তার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি স্থায়ীভাবে উৎসর্গ করা কে ওয়াকফ বলা হয়। যিনি ওয়াকফ করে তাকে ওয়াকিফ বলে।


দেবোত্তর সম্পত্তি

শব্দগতভাবে দেবোত্তর অর্থ দেবতার স্বত্বাধীন। দেবোত্তর সম্পত্তি হিন্দু ধর্মীয় আইন এবং ট্রাস্ট আইনের বিধান দ্বারা পরিচালিত হয়। হিন্দু ধর্মীয় আইনের (Mulla Principles of Hindu law) ৪১৩ ধারায় দেবোত্তর সম্পত্তিকে ‘ধর্মীয় উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত সম্পত্তিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলা হয়েছে। দেবোত্তর একটি অর্পণ বা চিরস্থায়ী দান। ট্রাস্টের মাধ্যমেও এই দান সৃষ্টি করা যায়। তবে সেই ক্ষেত্রে সম্পত্তির মালিকানা ট্রাস্টের উপর বর্তায় এবং দেবতা হয় সুবিধাভোগী। দেবতা অদৃশ্য শক্তি হলেও বৈধ সত্তা হিসেবে সম্পত্তি ধারণ করতে সক্ষম।


ওয়াকফ-আল আওলাদ বা ব্যক্তিগত ওয়াক্ফ(Al-waqf 'ala al-'awlad)


উৎসর্গকারীর নিজের জন্য, বা পরিবার বা বংশধরদের উপকারের জন্য যখন প্রভূতভাবে উৎসর্গ করা হয় তখন তাকে ওয়াকফ-আল আওলাদ বা ব্যক্তিগত ওয়াক্ফ(Al-waqf 'ala al-'awlad) বলা হয়। 


১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ২(১০) ধারায় বলা হয়েছে যে–

কোনো মুসলমান কর্তৃক ধর্মীয়, পবিত্র বা দাতব্য কাজের উদ্দেশ্যে তার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি স্থায়ী ভাবে উৎসর্গ করাকে বুঝায়।(“waqf ” means the permanent dedication by a person professing Islam of any movable or immovable property for any purpose recognised by Muslim Law as pious, religious or charitable, and includes any other endowment or grant for the aforesaid purposes, a waqf by user, and a waqf created by a non Muslim.)


ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল আওলাদ, দেবোত্তর অথবা অন্যান্য ধর্মীয় অছির অধীনস্থ কতিপয় খাজনা গ্রহণের স্বার্থ-সম্পর্কিত বিশেষ বিধানসমূহ 


রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ন আইন, ১৯৫০-এর ধারা-১০ক তে ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল আওলাদ, দেবোত্তর অথবা অন্যান্য ধর্মীয় অছির অধীনস্থ কতিপয় খাজনা গ্রহণের স্বার্থ-সম্পর্কিত বিশেষ বিধানসমূহ নিম্নোক্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে—


উপধারা-(১)ধারা ৩ এর (৪) উপধারার (ঙ) এবং (চচ) দফাসমূহে বা ৬ক ধারায় ভিন্ন কিছু থাকা সত্ত্বেও এই ধারার বিধানসমূহ সেই সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে যেক্ষেত্রেওয়াকফ,ওয়াকফ-আল আওলাদ দেবোত্তর অথবা অন্যান্য ধর্মীয় অছির অধীনস্থ খাজনা প্রাপকের স্বার্থ ৩ ধারার (১) উপধারা বা (২) উপধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে, কিন্তু ১৯৬০ সালের পূর্ব বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার তারিখ পর্যন্ত উক্ত স্বার্থের অধীনস্থ ভূমি অধিকারে রাখার নিমিত্তে প্রজাদের নিকট হইতে খাজনা অথবা সেস কর আদায়ের মধ্য দিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে সরকার ঐ সমস্ত সম্পত্তির উপর দখলের অধিকার প্রয়োগ করেনি।


উপধারা-(২)উক্ত স্বার্থ অধিগ্রহণের তারিখে বা তারিখ হইতে মোতাওয়াল্লি বা সেবাইত বা অছিদার, যেখানে যা প্রযোজ্য হয়, উক্ত তারিখের অব্যবহিত পূর্বে অধিকৃত সম্পত্তি কৃষি বছরের শেষ দিন যে দিন ৭৩ ধারার (২) উপধারা মোতাবেক উক্ত স্বার্থ সম্পর্কিত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণী বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে বলিয়া বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে সেই দিন পর্যন্ত বা উক্ত সম্পত্তিতে সরকার দখলের অধিকার প্রয়োগ না করা পর্যন্ত, যা পরে ঘটিবে,সেই পর্যন্ত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচালনা করিবে বা পরিচালনা করিয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে।


উপধারা-(৩)উক্ত মোতাওয়াল্লী, সেবাইত অথবা অছিদার সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে (৪) উপধারায় উল্লেখিত বিধান সাপেক্ষে ও উল্লেখিত হারে উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত প্রজা কর্তৃক প্রদত্ত সকল খাজনা এবং সেস কর ও খাস জমির ফসলের ভাগ উক্ত স্বার্থ অধিগ্রহণের তারিখ হতে কৃষি বছরের শেষ দিন পর্যন্ত বা উপধারা-২মোতাবেক বর্ণিত দখলের অধিকার প্রয়োগ না করা পর্যন্ত, যা পরে সংঘটিত হবে সেই পর্যন্ত আদায়ের অধিকারী হইবে এবং সে ৬ক ধারা মোতাবেক উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ প্রদান এবং তার মজুরীর পরিবর্তে আদায়কৃত ফসলের বিক্রয়লব্ধ অর্থ এবং অন্যান্য আয় অধিকারে রাখিবে এবং নিম্নেবর্ণিত অর্থের কম পরিমাণ অর্থ নির্ধারিত নিয়মে বার্ষিক হারে সরকারকে প্রদান সাপেক্ষে–


(ক)যে পরিমান অর্থ ঐসমস্ত অধিগ্রহণের অব্যবহিত আগে বার্ষিক রাজস্ব বা খাজনা ও সেস কর বাবদ সরকারকে অথবা উপরস্থ জমিদারকে, যেখানে যা প্রযোজ্য হয়,প্রদানের নিমিত্ত কালেক্টর কতৃর্ক নির্ধারিত হয় বা হইত; এবং


(খ) যে পরিমান অর্থ ঐ সমস্ত স্বার্থ অধিগ্রহণ না করা হলে ১৯৪৪ সালের বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন মোতাবেক ঐ সমস্ত স্বার্থ হতে আগত আয়ের উপর কর নির্ধারণযোগ্য হইত;


শর্ত থাকে যে,(i)কোনো মোতাওয়াল্লি, সেবাইত অথবা অছিদার অস্থায় ইজারা ছাড়া অপর কোনো নিয়মে খাস ভূমিতে নিহিত কোনো স্বার্থ হস্তান্তর বা দায় বা চার্জ সৃষ্টি করার অধিকারী হবে না; উক্ত অস্থায়ী ইজারা যে বছর সৃষ্টি করা হইয়াছে সেই বছরের শেষ কারিখে এক বছরের অতিরিক্ত সময়ের জন্য এক সঙ্গে প্রদান করা হইবে না;কালেক্টরের পূর্ব অনুমতি ছাড়া এবং কালেক্টর কতৃর্ক এই ব্যাপারে নির্ধারিত শর্ত পালন ছাড়া কোনো গাছ কাটা যাইবেনা অথবা কোনো ইমারত ধ্বংস করা যাইবেনা; ঐসকল শর্তের পরিপন্থী কোনো হস্তান্তর বা দায় বা চার্জ সৃষ্টি করা হলে অথবা কোনো ইজারা দেয়া হলে তা বাতিল বলিয়াগণ্য হইবে ও শর্তের পরিপন্থীভাবে যে গাছ কাটা হয়েছে বা যে ইমারত ধ্বংস করা হয়েছে তার সম্পূর্ণ মূণ্য উক্ত মোতাওয়াল্লি, সেবাইত অথবা অছিদারের নিকট হইতে বকেয়া খাজনা অথবা ভূমির রাজস্ব হিসেবে উদ্ধারযোগ্য হইবে।


(i)(i)কালেক্টর কতৃর্ক নির্ধারিত যে পরিমাণ অর্থ স্বার্থ অধিগ্রহণের অব্যবহিত আগে মোতাওয়াল্লি, সেবাইত অথবা অছিদারের সরাসরি অধীনে ১৮৮০ সালের বঙ্গীয় সেস কর আইন মোতাবেক পথ এবং গণপূর্ত সেস করবা ১৮৭৯ সালের আসাম স্থানীয় কর রেগুলেশন মোতাবেক স্থানীয় কর প্রজাগণের দ্বারা বার্ষিক হারে প্রদানযোগ্য ছিল সেই পরিমাণ অর্থ (ক) দফায় বর্ণিত অর্থ হতে বাদ যাইবে এবং তা বাংলা ১৩৬৭ সালের ১লা বৈশাখ হতে কার্যকর হইবে।


(iii)যে ক্ষেত্রে (১) উপধারায় উল্লেখিত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো মোতাওয়াল্লি,সেবাইত অথবা অছিদার উক্ত স্বার্থ অধিগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বে কোনো রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের কারণে সরকারের নিকট হইতে বা এমন খাজনা প্রাপকের নিকট হইতে যার উক্ত রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বে নিহিত স্বার্থ অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এবং দখল লাভ করা হইয়াছে সে ক্ষেত্রে উক্ত মোতাওয়াল্লি, সেবাইত অথবা অছিদার এই ধারা মোতাবেক সরকারের কাছে তার বার্ষিক আয়ের সঙ্গে সেই পরিমাণ অর্থের সমপরিমাণ অর্থ সমন্বয় করার অধিকারী হইবে কালেক্টর কতৃর্ক নির্ধারিত যে পরিমাণ অর্থ অধিগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত রায়তিস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের কারণে বার্ষিক খাজনা এবং সেস কর হিসেবে তার প্রাপ্য ছিল; কিন্তু ১৮৮০ সালের বঙ্গীয় সেস কর আইন মোতাবেক পথ ও গণপূর্ত সেস কর বা ১৮৭৯ সালের আসাম স্থানীয় কর রেগুলেশন মোতাবেক স্থানীয় কর ১৩৬৭ বাংলা সালের ১লা বৈশাখ হইতে আয় সমন্বয়ের জন্য গ্রহণযোগ্য হইবে না এবং সমন্বয়ের নিমিত্ত যদি বার্ষিক মোট অর্থের পরিমাণ এই ধারায় উল্লেখিত মোট বার্ষিক আয় অপেক্ষা বেশী হয় তবে অতিরিক্ত অর্থ কোনো আইন অথবা চুক্তি অনুযায়ী তার নিকট অপর কোনো সরকারী পাওনা থাকলে তা কেটে নেয়ার পর বাকী অর্থ সরকারের নিকট হইতে পাওয়ার অধিকারী হইবে।


ব্যাখাঃ ১৯৪৪ সালের বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন মোতাবেক অধিগ্রহণের তারিখের আগে শেষবার যে কর নির্ধারণ করা হয়েছিল তার গড় হার বের করিয়া (খ) দফার জন্য অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা যাইবে।


উপধারা-(৪)অধিগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বে খাজনা প্রদান সাপেক্ষে ভূমির অধিকারী (৩) উপধারায় উল্লেখিত প্রজাগণ ৪৩ ধারা মোতাবেক সংশোধন সাপেক্ষে ১৯ ধারার (৩) উপধারা মোতাবেক চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানে নির্ধারিত হারে উক্ত ভূমির খাজনা পরিশোধের জন্য দায়ী হইবে;


শর্ত থাকে যে, উক্ত প্রজাগণ চুড়ান্তভাবে খতিয়ান প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চতুর্থ অধ্যায় মোতাবেক প্রণয়নকৃত বিধিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক খাজনার বিবরণীতে উল্লেখিত হারে উক্ত ভূমির খাজনা প্রদান করিবে; এবং যে ক্ষেত্রে উক্ত প্রাথমিক খাজনার বিবরণী প্রণয়ন করা হয়নি সেক্ষেত্রে উক্ত প্রাথমিক খাজনার বিবরণী প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত অধিগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বে যে হারে প্রচলিত ছিল সে হারে খাজনা প্রদান করিবে।


আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ১৯ ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানে হ্রাসকৃত হারে বা বর্ধিত হারে উক্ত খাজনা প্রদর্শিত হয় বা ৪৩ ধারা মোতাবেক উক্ত খাজনার পরিমাণ হ্রাস বা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় সেক্ষেত্রে উক্ত প্রজার পূর্বে দেয়া খাজনার পরিমাণ কম হলে নির্ধারিত খাজনার বাকী অংশ দিতে বাধ্য থাকিবে এবং বেশী হলে অতিরিক্ত খাজনার ভবিষ্যতে প্রদত্ত খাজনার সাথে পূর্ব হইতে বলবত্‍‍যোগ্যরূপে সমন্বয় সাধন করার অধিকারী হইবে।


উপধারা-(৫)এই ধারা মোতাবেক প্রজার নিকট হইতে মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদারের আদায়যোগ্য বকেয়া খাজনা ও সেস কর সরকারী পাওনা হিসেবে পুনরুদ্ধারযোগ্য হইবে এবং উক্ত মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদারের ১৯১৩ সালের সরকারী দাবি আদায় আইন মোতাবেক উক্ত বকেয়া আদায়ের নিমিত্ত নির্ধারিত নিয়মে সার্টিফিকেট কর্মকর্তার টিকট দরখাস্ত করিতে পারিবে।


উপধারা-(৬)উপধারা (৪) অনুযায়ী কোনো প্রজা অতিরিক্ত খাজনা প্রদান করিলে প্রদত্ত সেই খাজনা হইতে মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদারের পরিচালানাধীন সময়ে পরবর্তীকালে তত্‍কতৃর্ক প্রদানযোগ্য খাজনা উক্ত উপধারা মোতাবেক সমন্বয় করার পর অবশিষ্ট অর্থ উক্ত মোতাওয়াল্লি,সেবাইত বা অছিদার সরকারকে পরিশোধ করিবে।


উপধারা-(৭)উপধারা (৩) বা (৬) মোতাবেক যে অর্থ মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদার কতৃর্ক সরকারকে প্রদানযোগ্য ছিল তা সরকারী পাওনা হিসেবে আদায়যোগ্য হইবে।


উপধারা-(৮)উপধারা (৫) মোতাবেক কোনো সার্টিফিকেট অফিসার কর্তৃক আদায়কৃত বকেয়া খাজনা এবং সেস করা (৩) অথবা (৬) উপধারা মোতাবেক বকেয়া সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট অর্থ সংশ্লিষ্ট মোতাওয়াল্লি,সেবাইত বা অছিদারকে দেয়া হইবে।


উপধারা-(৯)এই আইনের কোনো স্থানে বা আপাততঃ বলবত্‍  কোনো আইনে ভিন্নরূপ কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও উপধারা (৪) মোতাবেক কোনো প্রজা কতৃর্ক প্রদত্ত বকেয়া খাজনা এবং সেস কর আদায়ের সময়সীমা গণনা করার ক্ষেত্রে উক্ত বকেয়া পাওনার সাথে সংশ্লিষ্ট খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের তারিখ হইতে চব্বিশ মাস সময় বাদ দিতে হইবে।


উপধারা-(১০)প্রত্যেক মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদার নির্ধারিত ফরম-এ এবং নির্ধারিত সময়ে এই ধারা মোতাবেক আগের বছরে তত্‍তৃর্ক আদায়কৃত খাজনা এবং সেস কর দেয়া সত্ত্বেও উক্ত আদায়কৃত অর্থ হতে তত্‍কতৃর্ক ব্যয়কৃত অর্থের হিসাবে সমন্বিত একটি বিবরণী কালেক্টরের কাছে দাখিল করিবে।


উপধারা-(১১)কোনো আদালত কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক কোনো সম্পত্তি সম্পর্কিত এই ধারারয় বর্ণিত সুবিধার নিমিত্ত দাবি বা উক্তরূপ সুবিধার অধিকারী তাহার জন্য ঘোষণার উদ্দেশ্যে দায়েরকৃত কোনো মামলা অথবা দরখাস্ত গ্রহণ করিবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত উক্ত ব্যক্তি কালেক্টরের নিকট দরখাস্ত না করেন এবং কালেক্টর সেই ব্যক্তি উক্ত সুবিধার অধিকারী নয় বলিয়া চুড়ান্ত আদেশ প্রদান না করেন;


শর্ত থাকে যে, উক্ত দরখাস্ত দায়েরের তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে যদি কালেক্টর কতৃর্ক চুড়ান্ত আদেশ প্রদান না করা হয় তবে উক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদার দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়েরের অধিকারী হইবে।


Post a Comment

0 Comments