গারো বিবাহ
(Garo Marriage)
বাংলাদেশে গারো একটি অন্যতম নৃগোষ্ঠী। গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। জাতিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে অনেক গারোই নিজেদেরকে Mandi,মান্দি(মানুষ) বলে পরিচয় দেন। প্রায় অর্ধ শতাব্দি আগে পারোরা তাদের কুলপতি বোনেফার নকপান্তে অর্থাৎ যুবগৃহে একত্র হয়ে সামাজিক জীবনে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন সাধন করে। তার পিতৃতান্ত্রিক বিবাহ প্রথা রদ করে মাতৃতান্ত্রিক বিবাহ প্রথা প্রচলিত করে। জৈষ্ঠ পুত্রের মাধ্যমে উত্তরাধিকার প্রথা বাতিল করে কন্যার মাধ্যমে উত্তরাধিকার প্রথা প্রচলন করে। মাতৃতান্ত্রিক বিবাহ প্রথায় বিবাহ হবে অসগোত্র এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হবে পরিবারে কনিষ্ঠা কন্যা। গারো স্ত্রীলোক পিতা স্বাগোত্র স্বামী গ্রহণ করব যদি পাওয়া যায়। এই ব্যবস্থার কারণ হল যে দুই গোত্রের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে এবং এক গোত্র হতে অন্য গোত্রের অধিকারে সম্পত্তি চলে যাবে না, পিতৃতন্ত্রের পরিবর্তে মাতৃতন্ত্রের প্রবর্তনের মূখ্য কারণ ছিল যেন গারো উপজাতি অসমীয় উপজাতিদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে না যায়, কারণ অসমীয়দের মধ্যে পিতৃতন্ত্র প্রবর্তিত ছিল। মাতৃতন্ত্র প্রবর্তনের দ্বিতীয় কারণ হল যেন ভূমি এক গোত্র হতে অন্য গোত্রের অধিকারে চলে না যায়।
বিবাহের প্রকারভেদ
গারো মাতৃতান্ত্রিক উত্তরাধিকার আইন ১৪ অনুসারে পরিবারের সর্বগুণ সম্পন্না কন্যাই উত্তরাধিকার লাভ করে থাকে। পরিবারের সুযোগ্য কন্যাকে পিতামাতা নকনা নির্বাচিত করলে সেই নকনা বলে পরিচিত হবে। নকনা দুই প্রকারের হয়ে থাকে-একটি হল নির্বাচন করা নকনা ও অপরটি হলো অ'নসংআ বিবাহ পদ্ধতি অনচাপা জিকগিতি নকনা । তদ্রুপ নক্রোম nokrom (husband of the heiress of property) (সম্পত্তির উত্তরাধিকারীর স্বামী) দুই প্রকারের হতে পারে ।
(১) পিতার গোষ্ঠীতে ছেলে পাওয়া না গেলেও নকনাকে পিতার মাচং(গোষ্ঠী বা গোত্র) এ বিবাহ করতে হবে। সাধারণ গারো মেয়ে পিতার স্বগোত্র স্বামী গ্রহণ করিবে যদি পাওয়া যায় ।
(২) একজন মোমিন একজন মারাবকে বা সাংমাকে বিবাহ করিতে পারে কিন্তু অন্য একজন মোমিনকে বিবাহ করতে পারে না। মোমিন, মোমিনকে বিবাহ করলে তাদের সন্তানগণ মাদং (মাতাকে বিবাহে) নামের কলংক অর্জন করে। কতগুলি মাচং(machong) বা গোষ্ঠী পরস্পর বিভিন্ন হলেও মারাক শ্রেণীভূক্ত এবং অন্য কতগুলি পরস্পর ভিন্ন দুই মাচং এর মধ্যে বিবাহ হতে পারে যাবমাচং বলে বিবেচিত হয় না। কিন্তু এক মাচংভুক্ত পুরুষ এবং স্ত্রী বিবাহ করলে যেমন দিও দিওকে বিবাহ করলে তা মাদং বলে বিবেচিত হয়।
(৩) সাধারণত গারো পুরুষ প্রথম সম্পর্কের মামাত বোনকে বিবাহ করে। প্রথম সম্পর্কের না হলে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা যতদূর সম্ভব নিকটবর্তী সম্পর্কের হবে।
(৪) যদি কোন বিবাহিত দম্পতি সন্তানাদি জন্ম দিতে অসমর্থ হয় তবে স্বামী তার শ্যালিকাকে স্ত্রীর মাচং বা সগোত্রা অন্য কাউকে দ্বিতীয় পত্নীরূপে দাবী করতে পারে। এই ক্ষেত্রে স্ত্রীর মতামত গ্রহণ করে কাজ করা হয় বা দত্তক কন্যা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
(৫) স্বামী মৃত্যুবরণ করলে তার বিধবা স্ত্রী তার ছোট ভাইদের মধ্যে যে কোন একজনকে পুনঃ বিবাহ করার জন্য দাবী করতে পারে।
(৬) কোন যুবক বৃদ্ধা মহিলাকে বিবাহ করলে সে উক্ত স্ত্রীর সগোত্রা একজন তরুণীকে দ্বিতীয় স্ত্রীরূপে দাবী করতে পারে। এইরূপ ক্ষেত্রে সাধারণত বৃদ্ধা স্ত্রীর কন্যা থাকলে তাকে দাবী করা হয় এবং ঐরূপ কন্যা অনচাপা বা দকচাপা জিগগিতি হিসাবে পরিগণিত হয় ও নকনা হয়ে থাকে ।
(৭) মৃত পত্নীর স্বগোত্রের অনুমতি ছাড়া বিপত্নীক কাউকেও দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারবে না, করলে তার মাতা বা মাতা মৃত হলে তার মা’নক বর্গ (পুরুষের মাতৃগোত্রের স্ত্রীলোকগণ) পত্নীর চাচ্চিবর্গকে (মাতৃ-গোত্রের পুরুষ, স্ত্রী ও স্ত্রীদের স্বামী) ৬০ টাকা জরিমানা দিবে। দ্বিতীয় স্ত্রী মৃতা পত্নীর মাচং বাবগোত্রের না হলে সে কখনও সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে না।
(৮) বিবাহিত পুরুষ ব্যাভিচার করেও যদি তার স্ত্রীর সংগে বসবাস করে সেইক্ষেত্রে তার পত্নীর মাতা বা মাচং এবং অভিযুক্তার মাচং নালিশ দায়ের করে ও অপরাধী স্বামীর মা'নক বর্গ ও অভিযুক্তার চাচ্চিবর্গ,chatchi (moiety) ১৫ হতে ৩০ টাকা মাথাপিছু জরিমানা প্রদান করে। এইরূপ জরিমানাকে গারো ভাষার স'মালিনি গ্রো' বা অবিনশ্বাস্তার জরিমানা বলা হয়, এটি গ্রহণ করে অভিযোগকারিণী স্ত্রী, তার পুরুষ স্ত্রী ও তাদের স্বামীগণ ।
(৯) মৃতা পত্নীর প্রথম শ্রাদ্ধের পূর্বেই বিপত্নীক কোন স্ত্রীলোকের সংগে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে বিপত্নীকের মাতা মাথাপিছু ৬০ টাকা ও ৪ কোরা জরিমানার অতিরিক্ত ৫ হতে ৬০ টাকা জরিমানা মৃতা পত্নীর মাচংকে দিবে।
(১০) পত্নী স্বামীর যৌন সহবাসের দাবী অগ্রাহ্য করলে এবং তাকে পরিত্যাগ করলে তাকে ৩০ হতে ৬০ টাকা টরোমপিয়া (ধর্ম ভংগের জরিমানা) দিতে হবে।
(১১) কোন বিবাহিত পুরুষ তার ভাগিনেয়কে কন্যা জামাতা করার উদ্দেশ্যে বলপূর্বক নিয়ে যেতে পারে এবং তাকে (ভাগিনেয়কে) ভাবী স্ত্রীর সংগে এক ঘরে আটক রাখতে পারে।
বাগদান
বিবাহের বাগদান ঘোষণা করার পর যদি কোন পক্ষ অন্য কাউকেও বিবাহ করে সেইক্ষেত্রে বাগদান ভংগকারীপক্ষ জরিমানা দিতে বাধ্য। যার পরিমাণ বৈঠকে নির্ধারিত হয়। উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে বিবাহের বাদদান ভংগ করা যায়। একপক্ষ ভংগ করলে তাকে ৫(পাঁচ) টাকা জরিমানা দিতে হয়।
* বিবাহ প্রণালী ও অনুষ্ঠান
(১) আনুষ্ঠানিক বিবাহ (দু-দককা বা দোবুক নিয়া-Do-deka or Dobuknia )
এটি বিধিসম্মত প্রথম স্থানীয় বিবাহ অনুষ্ঠান। অখ্রীষ্টান গারো সমাজে এই পদ্ধতির বিবাহর অধিক প্রচলিত এবং সকল গারো উপজাতির দ্বারা এই অনুষ্ঠান স্বীকৃত। এই পদ্ধতির বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজন কিছু মদ একটি বড় মোরগ (দো রাসং) এবং অন্য একটি মোরগ ও মুরগী। বড় মোরগের মাংস পাত্রপাত্রীর অনাত্মীয়রা খায়। অন্য মোরগ ও মুরগী অনাত্মীয়গণ আগুনে পোড়িয়ে দেবতা তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করে ও অতঃপর খায়। মোরগ মুরগীর গীর্ঘ অন্ত্রটিরবশেষাংশের আকশি যদি সমান হয় এবং তাদের মধ্যে যদি সাদৃশ্য থাকে ও আকশির দুইটির অগ্রভাগ বিভক্ত না হয়ে পরস্পর মিলিত হলে বুঝতে হবে যে নব দম্পতির ভবিষ্যত শুভ। তৎপর পুরোহিত তার ডানহাত মুষ্টিবদ্ধ করে দম্পত্তির পিঠে তিনটি আঘাত করেন এবং তখনই দু-দককা প্রণালীর বিবাহ সম্পন্ন হয়।
(২) টুনাপা Til-napa (বাসর বিবাহ)
গারো খৃষ্টানদের মধ্যে এই প্রথা প্রচলিত। পুরুষ বা কন্যা যাকে বিবাহ করতে ইচ্ছুক তার শয্যায় গিয়ে সকলে ঘুমিয়ে পড়ার পর শয়ন করে। পিতামাতার জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে তা করা যায়। যে প্রণয়ী বা প্রণয়িনী শয়ন করতে যায় সে অপর পক্ষের নিকট গ্রহণযোগ্য হলে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, আর যৌন সংসর্গ না হলে প্রণয় নিবেদন অগ্রাহ্য হয়েছে বলে গণ্য হবে। যৌন সম্পর্ক দ্বারা নিবেদন গৃহীত হলে রাত্রি প্রভাত হওয়ার পূর্বেই দম্পত্তি বালিকার বাড়িতে চলে যায়। অগ্রাহ্য হওয়ার ক্ষেত্রে পানিপ্রার্থী পালিয়ে যায় এবং তার মাচংকে জরিমানা প্রদান করতে হয়। যা অপরপক্ষের স্ত্রী আত্মীয়বর্গ ভোগ করে। শয়নকারী আখিম(Akhim) কিংবা বালিকা নকনা হয়ে থাকলে ৩০ টাকা জরিমানা প্রদান করিতে হয়। যে মা'নক বৈবাহিক প্রস্তাব নাকচ করবে সেই ডাইও জরিমানা ভোগ করবে।
(৩) দকচাপা বা অনচাপা বা অননা চাপা- Onna-chapa (সপত্নী গ্রহণ)
এই পদ্ধতির বিবাহে একজন পুরুষ একজন বৃদ্ধও একজন যুবতীকে একত্রে বিবাহ করে। অনেক ক্ষেত্রে বৃদ্ধটি যুবতীর মাতা হয়। পরিবারের কর্তৃত্ব বৃদ্ধা পত্নীরই থাকে এবং সেই সম্পত্তির অধিকারীণি হয়। বৃদ্ধার মৃত্যুর পর যুবতী পত্নী সম্পত্তির অধিকারীণি হয়। যৌন সংসর্গে উভয় স্ত্রীর সমান অধিকার থাকে।সপত্নী গ্রহণের আর একটি পদ্ধতি নকনা-রা নামে পরিচিত। এই প্রথায় বৃদ্ধা পত্নী নিঃসন্তান হলে স্বামী একজন যুবতী পত্নী গ্রহণ করে এবং বৃদ্ধার মৃত্যুতে যুবতী পত্নী সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়। উভয় পত্নীর মৃত্যু হলে তাদের সগোত্র আত্মীয় বর্গ বিপত্নীকে আর একটি পত্নী দিতে বাধ্য থাকে ।
(৪) শেককা (অভিসার বিবাহ) shcka
এই পদ্ধতির বিবাহ শেককা ও জিক শেককা নামে পরিচিত। বৈধ বিবাহের বাইরে স্বামী স্ত্রীরূপে একত্রে বসবাস করার এটা একটা অবৈধ চুক্তি। অখৃষ্টান গারোদের মধ্যে এই পদ্ধতির বিবাহ প্রচলিত। এইরূপ বিবাহে দম্পত্তি গোপনে অন্যত্র চলে যায়।
(ক) পাত্র-পাত্রি অবিবাহিত হয়ে থাকলে আখিমের বাধ্যবাধকতা থাকে না। সাধারণত এইরূপ ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয় না এবং তাদেরকে স্বামী স্ত্রীরূপে বাস করতে দেওয়া হয়। তবে মাঝে মাঝে বিচারে অন্যরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন এইরূপ স্বামী স্ত্রীকে বলপূর্বক পৃথক করা হয়, এমনকি প্রহারও করা হয়।
(খ) একপক্ষ বিবাহিত ও অন্যপক্ষ অবিবাহিত হলে বিবাহিত পক্ষের আত্মীয়বর্গ অবিবাহিত পক্ষের আত্মীয়বর্গের নিকট হইতে জরিমানা আদায় ও ভোগ করে।
(গ) উভয়পক্ষই বিবাহিত হলে উভয়পক্ষের আত্মীয়বর্গ জরিমানা দিতে বাধ্য। ৬০ টাকা ও ৩ খানা কাশর জরিমানা দিলে এইরূপ দম্পত্তিকে একত্রে বাস করতে দেওয়া হয়। গারো রীতি অনুসারে ঐ মূল্য পত্নীকে পুরুষের সংগে স্থায়ী বন্ধনে আবদ্ধ করে এবং পত্নী সব অধিকার হইতে বঞ্চিত হয় এবং চিরকালের জন্য স্বামীর আজ্ঞানুবর্তীনি হয়।
বিবাহবিচ্ছেদ (Divorce)
পারস্পরিক সম্পত্তির ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদ করা যায়। তাছাড়া নিম্নলিখিত কারণে বিবাহবিচ্ছেদ করা যায়-
(১) স্বামী স্ত্রীর প্রতি কর্তব্য পরায়ন নয় বলে প্রমাণিত হলে স্ত্রী চারটি গারো খোরাসসহ ৬০ টাকা দিয়া তাকে পরিত্যাগ করতে পারেন।
(২) উভয় লিংগ হওয়া বা প্রজননে অক্ষমতা বিবাহবিচ্ছেদের উপযুক্ত কারণ।
(৩) ব্যভিচার বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান কারণ। পত্নীর স্বামীর অবিশ্বস্ততা প্রমাণিত হলে পত্নী উক্ত স্বামীকে ত্যাগ করিতে পারে এবং স্বামীর মানকবর্গ ও ব্যভিচারীণির চাচ্চিবর্গের নিকট হতে ৬০ টাকা এবং ৪ কোরা জরিমানা দাবী করতে পারে ।
(৪) অসংগতি মেজাজ ঠিকমত ও ভালভাবে পাক না করা পারিবারিক কাজ কর্মে অমনযোগী ইত্যাদি পৃথকভাবে বা যৌথভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।
(৫) অখৃষ্টান গারোদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য বিরাগ বা অপ্রবৃত্তির প্রতি লক্ষ্য করা হয় না। প্রাক বৃটিশ যুগে বিবাহ প্রথা জটিল ছিল। বর্তমানে ৬০(ষাট)টাকা জরিমানা প্রদান নিয়মের অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ সহজতর হয়েছে।
(৬) স্বামী স্ত্রীর সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ হলে ডাই বা জরিমানা দিতে হয় না। কিন্তু যদি একজন ইচ্ছুক ও অন্যজন অনিচ্ছুক হয় সেক্ষেত্রে তা অপমানের সামিল। তাই বিবাহ চুক্তি ভঙ্গ ও অপমান করার জন্য ৬০ টাকা জরিমানা দিতে হয়।
(৭) পরিত্যাক্ত স্ত্রীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য পরিত্যাগকারীর মাচং গারো প্রথা অনুযায়ী আর একজন নতুন স্বামী প্রদান করবে। তবে জরিমানা গ্রহণ না করার ক্ষেত্রেই এইরূপ করা হবে ।
(৮) বিবাহ বিচ্ছেদের সকল ক্ষেত্রে সন্তানাদি মাতার নিকট থাকে যাবে। কারণ মাতৃতান্ত্রিক প্রথা অনুযায়ী তারা মাতৃগোষ্ঠিতে জন্ম নেয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পরিবারের সম্পত্তি বলে বিবেচিত হয়। তারা পরিবারের খরচেই প্রতিপালিত হয় এবং মাতাই পরিবারের মালিক।
উৎস
0 Comments