সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

শিশু আইন, ২০১৩ এর প্রশ্নোত্তর

 

কত সালে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়?; শিশু আইন ২০১৩ কি; শিশু শব্দের অর্থ কি?; কিশোর অপরাধের শাস্তি কি?; শিশু শব্দের অর্থ কি?; কিশোর অপরাধের শাস্তি কি?; জাতীয় শিশু নীতি প্রণীত হয় কখন?; জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ বলতে কি বুঝায়?; Bangladesh Children Act 2013 Summary; কত বছর বয়সে বাচ্চারা ইউকে নাম পরিবর্তন করতে পারে; যুক্তরাজ্যের শিশু সুরক্ষা কি; অটিজম কি?; মামলা কত প্রকার ও কি কি?; শিশু আইন ২০১৮ pdf; শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী শিশু কারা; শিশু আইন ২০১৩ সংশোধনী; শিশু আইন বিধিমালা; শিশু আইন ২০২০; শিশু অধিকার আইন কয়টি; শিশু আইনে শিশুর বয়স; শিশু আইন ১৯৭৪;

  • কোন কোন বিষয় বিবেচনা করে শিশু-আদালত শিশু আইন, ২০১৩ এর অধীনে কোন আদেশ করবেন?
  • শিশুর উপর দণ্ড আরোপে কোন বাধা নিষেধ আছে কী? যদি থাকে আইনের সুনির্দিষ্ট বিধান উল্লেখপূর্বক আলোচনা করুন।

 

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত শিশু আইন, ২০১৩ বাংলাদেশের শিশুদের অধিকার রক্ষায় একটি মাইলফলক। এ আইনের মাধ্যমে শিশু আইন-১৯৭৪  রহিত করা হয়েছে। শিশুদের উন্নয়ন, বিকাশ, স্বার্থ, অধিকার এবং কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

শিশু-আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমূহ:

শিশু আইন, ২০১৩ এর ধারা-৩০ এর বিধান অনুযায়ী কোন আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে শিশু-আদালত নিম্নবর্ণিত বিষয় বিবেচনা করবেন-

 (ক) শিশুর বয়স ও লিঙ্গ;

 (খ) শিশুর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা;

 (গ) শিশুর শিক্ষাগত যোগ্যতা বা শিশু কোন্ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত;

 (ঘ) শিশুর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক অবস্থা;

 (ঙ) শিশুর পরিবারের আর্থিক অবস্থা;

 (চ) শিশুর ও তাহার পরিবারের জীবন-যাপন পদ্ধতি;

 (ছ) অপরাধ সংঘটনের কারণ, দলবদ্ধতার তথ্য, সার্বিক পরিস্থিতি ও পটভূমি;

 (জ) শিশুর অভিমত;

 (ঝ) সামাজিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন; এবং

 (ঞ) শিশুর সংশোধন ও সর্বোত্তম স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আনুষঙ্গিক যে সকল বিষয় বিবেচনার্থে গ্রহণ করা আবশ্যক ও প্রয়োজন।


শিশুর উপর দণ্ড আরোপে কোন বাধা নিষেধ

২০১৩ সালের শিশু আইনের ৩৩ ধারার বিধান অনুযায়ী শিশুর উপর দণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে নিন্মোক্ত বাধা নিষেধ রয়েছে-

১। অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন শিশুকে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা কারাদণ্ড প্রদান করা যাবে না :

 তবে শর্ত থাকে যে, কোন শিশুকে যখন এইরূপ কোন মারাত্নক ধরনের অপরাধ সংঘটন করতে দেখা যায় যে, তজ্জন্য এই আইনের অধীন প্রদানযোগ্য কোন আটকাদেশ আদালতের মতে পর্যাপ্ত নহে, অথবা আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে শিশুটি এত বেশি অবাধ্য অথবা ভ্রষ্ট চরিত্র যে তাকে কোন প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা চলে না এবং অন্যান্য যে সকল আইনানুগ পন্থায় মামলাটির সুরাহা হতে পারে তাদের কোন একটিও তাহার জন্য উপযুক্ত নয়, তা হলে শিশু-আদালত শিশুকে কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে প্রেরণের জন্য আদেশ প্রদান করতে পারবেন :

 আরও শর্ত থাকে যে, এইরূপে প্রদেয় কারাদণ্ডেরর মেয়াদ তার অপরাধের জন্য প্রদেয় দণ্ডের সর্বোচ্চ মেয়াদের অধিক হবে না :

আরও শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কারাদণ্ডে থাকাকালীন যেকোন সময়ে শিশু-আদালত উপযুক্ত মনে করলে এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন যে, এইরূপ কারাদণ্ডে আটক রাখার পরিবর্তে অভিযুক্ত শিশুকে, তার বয়স ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত, কোন প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে আটক রাখতে হবে।

 (২) উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশের অধীন কোন শিশুকে কারাদণ্ড প্রদান করা হলে, তাকে কারাগারে অবস্থানরত অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্ক আসামীর সাথে মেলামেশা করতে দেওয়া যাবে না।


Post a Comment

0 Comments